ঢাকা, ১৮ মে রোববার, ২০২৫ || ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
good-food
৬৪৫

জীবনের নিরাপত্তা চাইলেন ডাকসু ভিপি নুর 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪১ ১৯ আগস্ট ২০১৯  

জীবনের নিরাপত্তা চাইলেন ভিপি নুর। গত বছরের ৩০ জুন থেকে গত ১৪ আগস্টের হামলাসহ এ পর্যন্ত মোট আটবার ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট)  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন  প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চান ডাকসুর ভিপি নুর।

এই হামলা থেকে তাঁকে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই রক্ষা করতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। এজন্য হামলায় জড়িতদের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন ভিপি নুর।


প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে নুর বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিন।

কারণ অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে তার মুখ বন্ধ রাখা যায় না। প্রতিবার প্রকাশ্যে ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটলে ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের কছে সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি। বরাবরই পুলিশের নীরব ভূমিকা ছিল সন্ত্রাসীদের সহায়ক।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডাকসুর ভিপি বলেন,  প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, কিছুদিন আগেও বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আপনি নিজেই বলেছেন, সরকারের সমালোচনা করতে বাধা নেই, দেশে ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।


তিনি বলেন, গত ১৪ আগস্ট পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আমার আত্মীয়-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের হুমকিও দেয়। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে হামলা চালালেও ওসি হামলার কথা অস্বীকার করেন। এমতাবস্থায় আমি প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছি।

আমি কোনো অন্যায় অপরাধ করিনি। শুধু অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণেই আমি ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা বার বার ক্ষমতাসীন দলের রোষানলের শিকার হয়েছি।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছাড়াও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নুর।

তিনি বলেন, গত ১৪ আগস্ট আমার বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে উলানিয়া বাজারে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ এস এম শাহজাদা সাজুর নির্দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে হত্যার অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলায় প্রায় ২০-২৫ জনকে আহত, ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, দুটি ডিএসএলআর ও ৮৯ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। আহতদের মধ্যে অমি নিজে, রবিউল, ইব্রাহিম, জাহিদ ও রিয়াজসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হই।

সন্ত্রাসীরা শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি আমাকে চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। ডাক্তার সিটি স্ক্যান ও ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করার জন্য বরিশাল মেডিকেলে রেফার করলেও সন্ত্রাসী এবং পুলিশ আমাকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছি।